
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার কয়েকটি ইউনিয়নকে বিভক্ত করে রেখেছে কুমারনদী। একটি ব্রীজের অভাবে সীমাহিন দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ২০ হাজার মানুষকে। পিছিয়ে পড়ছে শিক্ষা ব্যবস্থা, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক। জনপ্রতিনিধিরা বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও ব্রীজের দাবী বাস্তব রূপ পায়নি।
এখানে একটি ব্রিজ এলাকার জনগনের দীর্ঘদিনের দাবী।নাগিরাট বাজারে একটি ব্রিজ নির্মাণ হলে এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নসহ জনগনের দূর্ভোগ কমবে বলে এলাকাবাসীরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছে।
কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার মনোহরদিয়া, ঝাউদিয়া, আব্দালপুর, পাটিকাবাড়ি,
হরিনারায়ণপুরসহ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজারো মানুষ জীবনের প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত
কুমারনদী পার হন। ব্যবসা-বানিজ্য, কৃষি কাজে, স্কুল কলেজে
যাতায়াত, হাট-ঘাটে যেতে, চিকিৎসা নিতে ও বিভিন্ন প্রয়োজনে বাশের তৈরী এই সাঁকোই তাদের সম্বল। নদীর মনোহরদিয়া
এলাকায় ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে মানুষ।
একটি ছোট ব্রীজের অভাবে আর্থিকসহ সব দিক
দিয়ে পিছিয়ে পড়েছে স্থানীয়রা।
২০ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের তৈরি বাঁশের
সাঁকোই যাতায়াতের একমাত্র ভরসা।
জনপ্রতিনিধিরা জানান, এলাকাবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর কয়েক বার সার্ভে
করলেও কাজ হচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তা
জানান,
বীজ র্নিমাণের বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র কর্তৃপক্ষের কাছেপাঠানো
হয়েছে।
ব্রীজটি নির্মাণ হলে এই এলাকার সামাজিক-পারিপার্শিক দিক থেকে অন্যান্য এলাকার সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে।