
যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি তাদের পর্যায়ক্রমে করোনার টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য ৪২ হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ২৫ জানুয়ারি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিনের প্রথম চালান আসবে। প্রতিদিন এক থেকে দেড়শ মানুষকে ভ্যাকসিন দেয়া সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে তিনি জানান – কমবয়সী, অসুস্থ ও প্রবাসীদের আপাতত করোনা টিকা দেয়া হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, ভ্যাকসিন যাতে সুন্দরভাবে দেয়া যায় সেজন্য একটি অ্যাপস তৈরি করা হচ্ছে। আইসিটি মন্ত্রণালয় এটি তৈরি করছে। আমরা তাদেরকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছি। অ্যাপসের মাধ্যমে ভ্যাকসিন প্রার্থী নিবন্ধন করতে পারবেন। সেখানে কিছু তথ্য দিলে তিনি নিবন্ধিত হবেন। পরে তিনি ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় ও স্থান পাবেন। সেখানে নিয়ম মেনে উপস্থিত হলে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন।
জাহিদ মালেক আরও বলেন, আমরা কাদের ভ্যাকসিন দেব, তা আগেও বলেছি। যারা ফ্রন্টলাইনাররা; যেমন— চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, সাংবাদিক, সেনাবাহিনী, পুলিশ, ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কাররা আগে পাবেন। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি— ৫৫ থেকে বেশি বয়স্কদের পর্যায়ক্রমে ভ্যাকসিন দেয়ার চিন্তাভাবনা করছি।
তিনি বলেন, আগামী ২৫/২৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সেরামের মাধ্যমে ভ্যাকসিনের প্রথম লট আসার কথা। ভ্যাকসিন আসলে তা ট্রান্সপোর্ট ও স্টোরেজ করার ব্যবস্থা করেছি। প্রত্যেক জেলায় যে স্টোরেজের ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে ৭ লাখ ডোজের বেশি ভ্যাকসিন রাখা সম্ভব হবে। উপজেলা পর্যায়ের স্টোরেজে আমরা দুই লাখের অধিক ডোজ রাখতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ভ্যাকসিন প্রয়োগ যথাযথভাবে বাস্তবায়নে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় কমিটি করা হয়েছে। মূখ্য সচিব এই কমিটির প্রধান থাকবেন। তার নেতৃত্বে ভ্যাকসিন কমিটি কাজ করবে। জেলা, উপজেলা পর্যায়েও কমিটি করা হয়েছে। সেই কমিটিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেখে সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে।