
উন্নয়ন প্রকল্প এবং ব্যক্তিগত নির্মাণ কাজের জন্য রাজধানী এখন ধুলার রাজ্য। বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র, ক্যাপসের পরিসংখ্যান বলছে, নগরীতে স্বাভাবিক মানমাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি বায়ুদূষণ হচ্ছে। এ নিয়ে চরম ভোগান্তি এবং তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা বলছেন সাধারণ মানুষ। সমস্যা নিরসনে দায়িত্বশীলদের ভূমিকা নিয়েও ক্ষুব্ধ রাজধানীবাসী।

প্রেসক্লাব থেকে পল্টনমুখি
সড়ক। বলতে গেলে রাজধানীর অন্যতম ব্যস্ত এলাকা। পরপর দুটি গাড়ি পার হলেই পুরো সড়ক
ধুলায় আচ্ছন্ন। দিনের পর দিন এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে চলছে নাগরিক জীবন।
মানমাত্রা অনুযায়ী, বাতাসে প্রতি
ঘনমিটারে ৬৫ মিলিগ্রামের বেশি ধুলাবালুর উপস্থিতি থাকা উচিত না। কিন্তু পল্টন,
জিরো পয়েন্টসহ সচিবালয় ঘিরে থাকা এলাকায় ধুলোর অস্তিত্ব মিলছে গড়ে তিনশ’ মিলিগ্রামের
কাছাকাছি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এমন পরিসংখ্যান দিয়েছে বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন
কেন্দ্র, ক্যাপস।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বললেন,
শীতকাল এলেই নির্মাণ কাজের হিড়িক পড়ে। যার পরিণতিতে পরিবেশে এমন ভয়াবহতা।
নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে যেমন
তেমন; বেড়িবাঁধ এলাকায় দুর্ভোগের মাত্রা আরো বেশি। সড়কের পাশেই ইট, বালু আর
সিমেন্টের স্তুপ। এখানে পানি ছিটানো কিংবা কর্তৃপক্ষের নজরদারির বিষয়টি চিন্তায়
আনতে পারছেন না সড়ক ব্যবহারকারীরা।
নির্মাণ কাজের টেন্ডারে ধুলো
নিয়ন্ত্রণসহ পরিবেশ ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, তা না মানায় যেন রীতি হয়ে
উঠেছে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।