
কীটনাশক ও রাসায়নিকের নিয়ন্ত্রণহীন ব্যবহারে বাড়ছে কৃষকদের ক্যান্সার। এখনই সতর্ক না হলে অদূর ভবিষ্যতে আরও বেশি ঝুঁকিতে পড়বে কৃষককূল। চিকিৎসক ও গবেষকরা বলছেন, স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মাঠপর্যায়ে কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়ার বিকল্প নেই।
উৎপাদন বাড়াতে ও রোগবালাই থেকে ফসলরক্ষায় দীর্ঘদিন ধরে খেতখামারে ব্যবহার হচ্ছে কীটনাশক ও কৃষি রাসায়নিক। এতে নিজের অজান্তেই ক্যানসারের মত প্রাণোঘাতি রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে কিডনি, হৃদযন্ত্র ও ফুসফুসের ক্ষতির কারণ হচ্ছে কীটনাশক ও রাসায়নিক।

কৃষকেরা কোন প্রকার সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কীটনাশক ও রাসায়নিকের ব্যবহার বিধি সম্পর্কেও অজ্ঞ তারা। এসব প্রয়োগে কৃষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা না হলে ভবিষ্যতে অনেক মাশুল দিতে হবে বলে মনে করেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. এএফএম জামাল উদ্দীন।
জাতীয় ক্যান্সার হাসপাতালে ২০১৫ সালে চিকিৎসা নেয়া ক্যান্সার রোগির মধ্যে কৃষকের সংখ্যা ছিল ৬০ শতাংশ। এরপর থেকে প্রতি বছর এ সংখ্যা উর্ধমুখী হচ্ছে বলে জানান, জাতীয় ক্যান্সরার গবেষণা ইন্সিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার ও রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ড. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন।

বাংলাদেশ
জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউটের জরিপ মতে, ২০১৭ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত
পুরুষদের মধ্যে ৬৪ শতাংশই কোন না কোনভাবে কৃষির সঙ্গে জড়িত। নারী পুরুষ মিলিয়ে
ক্যান্সার রোগির মধ্যে ৩৪ শতাংশেরই পেশা কৃষি।