
চাঁদপুরের হাইমচরের মধ্যচরে যাচ্ছে বিদ্যুত সংযোগ। প্রায় ৯৯ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনটি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন করা হয়েছে। আগামী এক মাসের ভেতরে বাকিগুলোও স্থাপন করা হবে।
সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হবে ৫০ হাজার বাসিন্দা। এতে চরাঞ্চলে কৃষি, শিক্ষা, শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সব ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
পুরো ইউনিয়নে ফিলার ও মিটার স্থাপনের কাজ শেষ করে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সংযুক্তিও যাচাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চরাঞ্চলে বৈদ্যুতিক লাইনেরও সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। এদিকে, বিদ্যুৎ আসায় চরাঞ্চলবাসীর মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার।
চরবাসীদের স্বার্থে শরীয়তপুর থেকে সাবমেরিনের মাধ্যমে নীলকমল ইউনিয়নের মধ্যচরে বিদ্যুৎ পৌঁছানোর কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে ৭ হাজার ঘরে বিদ্যুতের মিটার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও ট্রান্সফর্মারসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদি স্থাপনের কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। আর এতেই চরের সাধারণ মানুষের মুখে ফুটেছে খুশির হাসি। জনমনে তৈরি হয়েছে আনন্দ ও উন্মাদনা।
৪নং নীলকমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জানালেন, খুব দ্রুতই মুজিববর্ষ উপলক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যুৎ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হবে। এতে এ চরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জীবনমানের ব্যাপক উন্নয়ন হবে।
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চাঁদপুর এবং শরীয়তপুরে আটটি সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে চরাঞ্চলে বৈদ্যুতিক লাইন স্থাপন কার্যক্রম চলছে। এ বিদ্যুৎ সংযোগ চরের অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দার কৃষি, শিক্ষা, শিল্প কলকারখানা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সর্বক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন ঘটাবে বলে আশা করছেন সম্ভাব্য উপকারভোগীরা।