
শীতপ্রধান অঞ্চল থেকে আসা অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখর ভোলা উপকূলের চরাঞ্চলগুলো। মাঝেরচর, মদনপুর, মেদুয়া, নেয়ামতপুর চর, চরফ্যাসনের তারুয়া, কুকরী-মুকরীসহ অর্ধশতাধিক ছোট বড় চর, নানা প্রজাতির লাখো অতিথি পাখির আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। পাখির কিচিরমিচির, ওড়াওড়ি আর জলকেলি ছুঁয়ে যায় দর্শক মন।
কিন্তু শিকারিদের অপতৎপরতায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে ভোলা উপকূলের অতিথি পাখির বিচরণ ভূমিগুলো। নদীর মধ্যবর্তী চারণভূমিতে ফাঁদ ও বিষটোপ দিয়ে নির্বিচারে চলছে এসব পাখি নিধন।

তবে, দুর্গম এসব চরে শিকারিদের কারণে মোটেও নিরাপদ নয় অতিথি পাখিরা। কারেন্ট
জালের ফাঁদ আর বিষটোপ দিয়ে প্রতিদিন শত শত পাখি নিধন করছে একটি চক্র। কিছু পাখি গোপনে বাজারে বিক্রি হলেও অধিকাংশই
ভেসে যায় নদীতে। এতে একদিকে কমছে পাখির আগমন, অন্যদিকে নষ্ট হচ্ছে চরাঞ্চলের
সৌন্দর্য।
আবার শিকারি চক্র অতিথি পাখি নিধনের পর জবাই করে বিভিন্ন হোটেল ও বাসা বাড়িতে বিক্রি করে। প্রতি পিস মেলে ৫’শ থেকে ৬’শ টাকায়।

ভোলা জেলা প্রানি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. প্রদিপ কুমার কর্মকার বলেন, বিষ দিয়ে মারা পাখির মাংস খেয়ে মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ।
ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন অপারেশন অফিসার লে. নাজিউর রহামান জানান, পাখি রক্ষায় তৎপর রয়েছে কোস্টগার্ড কর্মকর্তারা। জানান, পাখির নির্বিঘ্ন বিচরণ ও শিকার বন্ধে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বনকর্মী ও কোস্টগার্ডের টহল অব্যাহত আছে।
অভয়াশ্রম গড়ে তোলা সম্ভব না হলে শিগগিরই এ অঞ্চল পাখিশুন্য হবে বলে মনে
করছে এলাকাবাসী।