
তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পক্ষে তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ প্রত্যেকের ব্যাট থেকে আসে ৬৪ করে রান। আর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাকিব আল হাসান করেন ৫১ রান।
এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী
স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই লিটন দাসকে হারায় বাংলাদেশ
শিবির। ওভারের পঞ্চম বলটা কম গতির ফুলার লেন্থে দিয়ে পরাস্ত করেন লিটনকে।
লাইন মিস করে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে তিনি ফিরে যান শূন্য রানে।
দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অধিনায়ক তামিমের
সঙ্গী হিসেবে আসেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শুরুও করেন ভালো। কিন্তু হঠাৎ
ছন্দপতন ঘটে। গত ম্যাচের মত এ ম্যাচেও বেশিদূর এগোতে পারেননি তিনি।
ব্যক্তিগত ২০ রানে মায়ার্সের বলে কাটা পড়েন। এরপর তামিমের সঙ্গে জুটি
বাঁধেন সাকিব আল হাসান।
দুজন মিলে ইনিংস টেনে নিতে থাকেন। গড়েন
৯৩ রানের জুটি। ঘরের মাঠে এক প্রান্ত আগলে রেখে তামিম তুলে নেন ব্যক্তিগত
৪৯তম এবং উইন্ডিজের বিপক্ষে অষ্টম হাফসেঞ্চুরি। তবে এরপর এগোতে পারেননি
বেশিদূর। ৬৪ রানেই থমকে যায় তামিমের ইনিংস। জোসেফের বলে আউট হয়ে ফিরে যান
তিনি।
তামিমের বিদায়ের পর সাকিবকে সঙ্গ দিতে
নামেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। এরপর দলীয় ১৭৯ রানের মাথায়
রেইফারের বলে বোল্ড হওয়ার আগে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করেন তিনি।
মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে ৭০ দলীয় ৭০ রানের জুটি গড়েন মুশফিক।
উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম
ব্যক্তিগত ৬৪ রানের মাথায় রেইফারের বলে আউট হলেও মাহমুদউল্লাহ ইনিংসের বাকি
সময়টুকু সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন। তিনিও ৬৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ৫০ ওভার
শেষে টাইগারদের দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৯৭ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আলজারি জোসেফ ও রেমন রেইফার নেন দুটি করে উইকেট ও কাইল মায়ার্স নেন একটি উইকেট।