
বাজারে পর্যাপ্ত আলু রয়েছে। এর পরও সরকার বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি হচ্ছে
না। সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেশি দামে (৪৫-৫০ টাকা)
বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
এছাড়া প্রচুর সরবরাহ থাকার পরেও ঝাঁঝ কমছে না পেঁয়াজের। বিদেশি ৪০ থেকে ৪৫, দেশি ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম ঘোষণায় সীমাবদ্ধ, বাজারে তার
প্রতিফলন নেই। তাদের অভিযোগ, দুর্বল বাজার মনিটরিংয়ের কারণে ‘অসাধু
ব্যবসায়ীরা’ দাম বাড়িয়ে ফায়দা নিচ্ছেন।
এদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে- কঠোর মনিটিরিং হচ্ছে। ডিসেম্বরের শুরুতে আলু-পেঁয়াজের দামও কমবে।
বাজারে আসা একাধিক ক্রেতা বলেন, ‘রান্নায় আলু ও পেঁয়াজ অপরিহার্য। গত আড়াই মাস ধরে এ দুটি পণ্যের দাম বেশিই রয়েছে। কমছে না।
রাজধানীর মালিবাগ ও শান্তিনগর বাজারে আসা গোফরানুল হক ও হেমায়েত উদ্দীন
বলেন, সরকার আলুর দাম খুচরা ৩৫ এবং পাইকারী ৩০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে।
কিন্তু বাজারে প্রতি কেজি আলু ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শান্তিনগর বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী সবুজ বলেন, ‘কৃষক ও কোল্ড স্টোর
থেকে ৩৫ টাকায় কিনে ভ্যান লেবার খরচসহ ৩৭ টাকা দাম পড়ে যায়। এক টাকা লাভ
করে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করেছি। সরকার দাম বেঁধে দিলে হবে না,
আমরা কিনছি ৩৭ টাকায়, ৩৫ টাকায় কীভাবে বিক্রি করব?’
শ্যামবাজারের বাবা-মায়ের দোয়া এন্টারপ্রাইজের প্রোপাইটারের ম্যানেজার
রায়হান বলেন, ‘দেশে পর্যাপ্ত আলু মজুত আছে। সবজির দাম বাড়ার সুযোগে কিছু
অসাধু ব্যবসায়ী ও কোল্ড স্টোরের মালিক সিন্ডিকেট করে আলুর দাম বাড়িয়েছে।
এখন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে দাম কমবে।’