
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানের ৫ কোটি টাকার চন্দন গাছ বিক্রি করে দিলেও বহাল তবিয়তে আছেন পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম, রেঞ্জার হারুন অর রশীদ তালুকদার ও ইজারাদার সুমন। অপকর্ম ঢাকতে উজাড় হওয়া চন্দন বাগানে করা হয়েছে শিশু উদ্যান।
জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে চলছে আনসার সদস্যদের রাজত্ব। কোন মিডিয়া অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করতে গেলে তাদের ভিতরে ঢুকতে দেয়া হয়না। ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করা হয়। তেমনিভাবে বেপরোয়া আনসার সদস্যরা মোহনার গাড়ি আটকে দেয়। পরে কৌশল পাল্টে গোপন পথে ঢুকতে হয় উদ্যানে।
প্রায় ৫ কোটি টাকা মূল্যের চন্দন গাছ চুর করে বিক্রির মধ্যিমে পকেট ভরেছে একটি চক্র। উদ্যান তৈরির বাজেট থেকেও কমপক্ষে ৫ লক্ষ টাকা লুটে নেয় চক্রটি। প্রমাণ লোপাট করতে চন্দন বাগানে গড়ে তোলা হয়েছে শিশু উদ্যান, যদিও তা সবসময়ই থাকে বন্ধ।

চন্দন গাছ বিক্রির অভিযোগ নিয়ে গেলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন লুটপাটের অন্যতম
হোতা ফরেস্ট রেঞ্জার হারুন অর রশীদ তালুকদার। প্রথমে অশ্লীল ভাষায় চড়াও হলেও পরে
ম্যানিব্যাগ বের করে উৎকোচের মাধ্যমে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
লুটপাটের আরেক পাণ্ডা পরিচালক মোল্লা রেজাউল করিম বদলির সুবাদে আছেন যশোর
রেঞ্জে। টেলিফোনে তিনি কষিয়ে থাপ্পড় মারার হুমকি দেন প্রতিবেদককে।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকার যখন যুদ্ধ ঘোষণা করেছে তখন জাতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারীরা কীভাবে দাপটের সঙ্গে চেয়ার আগলে রেখেছেন, সেটাই জানতে চান সাধারণ মানুষ।