
দেশে লিচুর জন্য বিখ্যাত দিনাজপুর জেলা। এবার ফলন ভালো হলেও করোনা পরিস্থিতিতে বেশ দূশ্চিন্তায় বাগান মালিকরা। এমনিতেই টানা দুই বছর রোজার মাসে লিচু পাকায় লোকসান গুনতে হয়েছে তাদের। অন্যদিকে বাগানীদের প্রণোদনা দেয়ার আশ্বাস দিচ্ছে কৃষি অফিস।
দিনাজপুর জেলার ১৩টি উপজেলাতেই কমবেশি লিচু বাগান রয়েছে। তবে সদর,
বিরল, কাহারোলে বাগানের সংখ্যা বেশি। এজন্যে লিচুর রাজধানী হিসেবে পরিচিত দিনাজপুর। এ জেলার বম্বাই, মাদ্রাজী, বেদানা, কাঠালী, চায়না থ্রীসহ বিভিন্ন জাতের লিচুর কদর দেশজুড়ে। থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা সবুজ রঙ্গের লিচু যেন অপেক্ষায় আছে জ্যৈষ্ঠ মাসের।আর ক’দিন পরেই লিচু পাকতে শুরু করবে। বাগানীরা পোকা দমনে কিটনাশক, সেচসহ পরিচর্যায় ব্যস্ত। সময় পার করছেন।
ফলন ভালো হলেও কৃষকের কপালে যেন দূশ্চিন্তার ভাজ। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে লিচু নিয়ে বিপাকে পড়ার শঙ্কা তাদের মধ্যে। এছাড়া টানা দুই বছর রোজার মাসে লিচু পাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হন বাগানীরা।
লিচু বাগানীদের নানা পরামর্শ দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। প্রয়োজনে প্রনোদনার আওতায় আনা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।দিনাজপুর জেলায় সব মিলিয়ে সাড়ে ৬ হাজার হেক্টর জমিতে লিচুর বাগান রয়েছে। আর প্রতিবছর লিচু উৎপাদন হয় ৩০ হাজার মেট্রিক টন।