
দেশে করোনাক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকলেও ঘরে থাকা কিংবা সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি এখন উপেক্ষিত। পোশাক কারখানার পর মার্কেট খুলে দিতেই বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন নগরবাসী। প্রয়োজন কিংবা অপ্রয়োজনে রাস্তায় নেমে আসছেন অনেকেই। কেউ আবার পথে নেমেছেন জীবিকার তাগিদে। এমনকি শিথিল ভাব চলে এসেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল কার্যক্রমেও। মানুষের প্রয়োজনের কাছে দায়িত্ব পালন অসহায় হয়ে পড়েছে বলে জানান তারা।
ধীরে ধীরে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে ঢাকার রাজপথ। পোশাক কারখানা ও মার্কেট খোলার পর রাস্তায় যানবাহনের চাপ বেড়েছে অনেক। গণপরিবহন না থাকলেও রিক্সা ও সিএনজির দাপট বেড়েছে সর্বত্র। নানা প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হয়ে
পড়ছেন মানুষ। কারো কারো অফিস খুলেছে। কেউ বের হয়েছেন ব্যক্তিগত কাজ সারতে। করোনার
ঝুঁকি থাকলেও সামাজিক দূরত্বের বিষয়টি মাথায় নেই অনেকেরই।
মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের তৎপরতায়ও ভাটা এসেছে। মানুষের পাশাপাশি বেশিরভাগ চেকপোস্ট নির্বিঘ্নে পার হয়ে যাচ্ছে পরিবহন। একই চিত্র রাজধানীর প্রবেশপথেও। বিপরীত চিত্রও চোখে পড়েছে। ঝুঁকি অনুধাবন করে নিজ উদ্যোগেই নিজ মহল্লা লকডাউন করে রেখেছেন বাসিন্দারা। সরকারের ইতিবাচক সাড়া থাকলেও ঈদের আগে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেকেই।